কসবায় ‘ল’ কলেজে ছাত্রী ধর্ষণ–খুন: তদন্তে নতুন তথ্য, ফরেনসিক পরীক্ষায় প্রমাণ পাঠানো
স্থান ও ঘটনা
২৬ জুন রাতে দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকা অবস্থিত সাউথ কলকাতা ল’ কলেজ (নিউ ক্যাম্পাস) এর ভেতরে এক ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ অনুসারে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিত বিশ্বাস (৩১), সহ-আবৃত্তিরাজ হাবিব (প্রা.১৯) ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০) কলেজ ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ৭:৩০ টা থেকে ১০:৫০ মিনিটের মধ্যে ধর্ষণ করেছে ।
বাজেয়াপ্ত ফোন, ফরেনসিক পরীক্ষায় বিলম্ব
মনোজিতের মোবাইল ও অন্যান্য আলামত দ্রুত বাজেয়াপ্ত করা হলেও, তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ হতে ৭২ ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে।
ফ্যাক্ট: “বাজেয়াপ্ত হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরও ফরেনসিক ল্যাবে পৌঁছয়নি মনোজিতের বাজেয়াপ্ত হওয়া ফোন” ।
এদিকে, কলেজ ভবনের গার্ড রুম, ইউনিয়ন রুম ও বাথরুম থেকে সংগৃহীত ভিডিও–আইডেন্টিটি এবং আরও ফিজিক্যাল প্রমাণও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ।
ফরেনসিক টিমের উপস্থিতি
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় ফরেনসিক বিভাগের একটি বিশেষ দল ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত চালিয়েছে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইলফোন ডেটা এবং সম্ভাব্য অন্যান্য জৈব-আলামত সংগ্রহ করেছে ।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে অভিযুক্তরা প্রায় ৭.৫ ঘণ্টা ধর্ষণ-সহিংসতা চালিয়েছে ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক ত্রুটি তদন্তাধীন
কোমল অভিযোগ উঠেছে যে, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের রেজিস্টারে ইতিপূর্বেই মনোজিত সম্পর্কে উচ্চশিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের কাছে অভিযোগ উঠেছিল—কিন্তু তা বিবেচনা হয়নি। বর্তমানে ওই রেজিস্টার, উপস্থিতি রেকর্ড এবং মনোজিতের টেম্পোরারি স্টাফশিপ নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে ।
আইনি প্রক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া
আরোপিত তিনজনকে আলিপুরের আদালতে হাজির করা হয়েছে। পুলিশ চার দিনের কস্টডি চেয়েছে ।
কলকাতা পুলিশ এক জাতীয় গাইডলাইন অনুযায়ী সূক্ষ্ম সতর্কতা জারি করেছে: “নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে” ।
সরকার ও রাজনীতির প্রতিক্রিয়া
টিআইএমসি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। প্রধান পুলিশ কমিশনার নিজে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন । অপরদিকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রতি নাগরিক সমাজ ও কংগ্রেস–বিপক্ষ অঙ্গ সংগঠনের আহ্বান, ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার।
পরবর্তী পদক্ষেপ
ফরেনসিক রিপোর্টে কী ধরণের সূত্র পাবার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটি প্রকাশ পেলে নতুন মোড় আসতে পারে তদন্তে।
কলেজ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের ভূমিকা সহ সমস্ত দায়িত্ব নির্দিষ্ট হবে আদালতে।
জনস্বার্থ মামলা (PIL) আবেদন প্রস্তুত প্রক্রিয়া চলছে—প্রথম সংস্থা ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
—
সংক্ষেপে:
ঘটনার সময়: ২৫ জুন সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০
অভিযোগ: তিন অভিযুক্ত—একজন প্রধান, দুইজন সহযোগী
প্রমাণ সংগ্রহ: মোবাইল, ভিডিও, ফিজিক্যাল প্রমাণ
ফরেনসিক পরীক্ষার বিলম্ব: প্রমাণ পৌঁছায়নি প্রথম ৭২ ঘণ্টায়
সরকারি পদক্ষেপ: পুলিশ তদন্ত, PIL প্রস্তুতি, প্রশাসনিক মূল্যায়ন
জনস্বাস্থ্য পরিণতি: নির্যাতিতার পরিচয় লুকানোর চেষ্টা, আইনি সতর্কতা
—