সুপ্রিম কোর্টে বিরাট জয় ডিএলএড প্রার্থীদের। বিএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের জন্য বড় ধাক্কা
B.ED vs D.EL.ED (BED vs DELED): শেষে, সুপ্রিম কোর্টে বিরাট জয় হয়েছে DELED প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের । 2018 সালের 28 জুনের NCTE-এর জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে আজ এর ফলে বড় জয় মিলেছে DELED চাকরি প্রার্থীদের।

BED এবং NCTE-এর আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এর আগে রাজস্থান হাইকোর্টের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল সেটিই প্রমাণিত হয়েছে আজ সুপ্রিম কোর্টে। এই রায়ের ফলে BED করা চাকরি প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে গেল।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিএলএড (DELED) প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগে নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। কারণ তারা মনে করছে, এতে তাদের অধিকার এ হস্তক্ষেপ হচ্ছে । এবং কম্পিটিশন বাড়ছে । এই বিষয়ে রাজস্থান হাইকোর্ট ডিএলএড প্রার্থীদের দিকেই রায়দান করেছিল । কিন্তু হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট তেমন রায় দেয়নি। পশ্চিম বঙ্গ তেও এই সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে দায়ের হয়ে আছে ।
এর আগে এনসিটিই (NCTE) কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। ইতিমধ্যেই শুনানি শেষ হয়েছে। রায় রিজার্ভ রাখে সুপ্রিম কোর্ট। গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার রায় দেওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসে ।
সুপ্রিমকোর্ট BEd vs DEleEd মামলার ফাইনাল জাজমেন্ট এল। আজই গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার রায় দেওয়া হল। জানা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে জয় মিলেছে DEleEd করা চাকরি প্রার্থীদের। এবং পরাজয় হলো বি এড পার্থী দের ।

রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ের সমর্থনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দল বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ডিএলএড প্রশিক্ষণ বিএড প্রশিক্ষণের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ভাল শিক্ষক হবেন।”
যদিও এসব কথাকে বিএড পার্থীর দলের সদস্যরা জানান, যোগ্যতা থাকলে ভয় কিসের?? আর তুলনা দেখিয়েছেন ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলর ডিগ্রীর মধ্যে ।
যাইহোক, ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খুশি। তারা বলছেন, এই রায় তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা আশা করছেন, এই রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নত করবে।
