আমরা প্রত্যেকে কম বেশি বেকার । সরকার ‘স্কুল শিক্ষকতা’ নিয়ে একদমই ভাবেন না । একবারের জন্যেও না । শেষ দশ বছরেও – ওনাদের আমাদের কথা মনে পড়লো না । কিন্তু প্রত্যেক বছর দায়িত্ব করে ক্লাব গুলোই টাকা দিতে হবে এটা ভোলেন না।
আবার অনেকে বলবে এই লাইনে কেনো আছো তবে? অন্য পথে এগোo- তার কারণ ১) অনেকেরই ইচ্ছে বা ড্রিম জব হয় । (এখন “আপনি” যদি প্রধান মন্ত্রী বা মুখ্য মন্ত্রী হওয়ার কথা না ভাবতেন, আপনাকে জোর করে যদি বলা হতো আপনি ভালো ডাক্তার বা পাইলট হয়ে যান, তবে সেটা কি খুব ভালো হতো ? ভেবে বলুন )
২) দ্বিতীয় বক্তব্য, ধরে নিলাম অন্য লাইনেই যাবো । তাহলে প্রত্যেক বছর মিথ্যে আশ্বাস দেওয়া উচিত ? যখনই মনে হয় C H S L বা C G L টা প্রত্যেক বছর হয়, ওটা মন দিয়ে পড়ি, তখনই সরকার থেকে ঘোষণা করা হয় – পুজোর আগে নোটিফিকেশন বেরোবে । অথবা ভোটের আগে । তখন মনে হয়, এত দিন S L S T এর প্রিপারেশন নিচ্ছি । হটাৎ পড়া ছেড়ে দেবো ? অন্য চাকরীর এক্সাম এর প্রস্তুতি নেবো ?

যদি এবছর সত্যি ফর্ম বেরোয় । স্যার ম্যাডামেরাও বলছে, ” না না এবার সত্যিই একটা এক্সাম হবে । একটা কথা শোনা যাচ্ছে , বিভিন্ন ব্যবসায়িক হোক বা অ্যাডমিন বা রাজনৈতিক পার্টির সদস্যরাও বলছে” – ‘আজ মিটিং হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি খুশির খবর বেরোতে চলেছে । স্কুল শিক্ষকতায় এতো Vacancy আসতে চলেছে । প্রস্তুতি শুরু করে দাও’ – তখন আমরা ছাড়তে পারিনা আমাদের পড়াশুনো এই পথের । আর এই সব মিথ্যে কথা বলে বলে আমাদের মানসিকতা ও ভেঙে পড়ছে তার সাথে এনার্জি এবং বয়স ।
আমার মতে সরকার যদি মনে করেন যে পাঁচ বছর বা সাত বছর পর এক্সাম নেবো । সেটাই বলুক । কিন্তু সত্যি বলুক । এতে আমরা অন্তত সে ভাবে একটা কিছু লক্ষে এগোতে পারবো । মানসিক সুস্থ থাকবো ।
বা প্রত্যেক বছর বিষয় প্রতি দশ টা করেও নিয়োগ হোক । অন্তত নিজেরা তো বুঝবো যে পরীক্ষা হচ্ছে , এবারে না হলে পরের বার নিশ্চয় পারতে হবে । কিন্তু একবার ও নিজেদের অ্যাপ্লাই ই করতে পারলাম না, যে ফিল্ড এ আমরা এগোলাম ।
আমি মনে করি, জীবনে একুশ থেকে তিরিশ বছর নিজেকে ভালো রাখার, নিজের জন্য বাঁচার সব থেকে সুন্দর সময় । আর তিরিশ এর পর থেকে নিজের পরিবারকে ভালো রাখার সময় । কিন্তু 😅 সব বয়সই আমাদের ক্ষয়ে যাচ্ছে, মানসিক খুশির খোজে, আর কবে আমরা বাঁচবো? শারীরিক অসুস্থতা আমরা দেখতে পায়, কিন্তু মানসিক যন্ত্রণার খোঁজ কেও নেয় না জানতেও পারে না, যেটার পরিণাম আরো ভয়ানক হয় পরে । এগুলোর দায়ী কি সত্যি আমরা নিজেরাই? যারা আমরা এই লাইনে যুক্ত কেবল তারাই বুঝছি ।

রাস্তার কিছু পাবলিক যখন বলে কি রে, কি করছিস? সারাদিন বসে থাকিস? তখন যদি আপনি বলেন , পড়াশুনো করছি চাকরীর জন্য বা বেকার আছেন । তারা আপনার কথার পেছনের কষ্টটা দেখতে পাবে না বরং তারা বলবে আর কত দিন পড়বি? বা সবার চাকরী হচ্ছে, তুই পারছিস না?? তারা আসলে নিজেরা কখনো এই পথ নিয়ে ভাবে নিই, বা চাকুরী পেতে কত পরিশ্রম প্রয়োজন জানে না , হয়তো বা ভাতা পেয়ে খুশি তাদের জীবন, আর কিছু প্রয়োজন নেই বা উদেশ্য নেই । তাই এদের আপনি বোঝাতে পারবেন না ।
আর শেষে বলি, অনেকে ভাববে, এ নিশ্চই রাজনীতি করে । এত নেগেটিভ কথা । কেও শিখিয়ে দিয়েছে । আসলে এই বিষয় গুলো শেখাতে হয়না: যে দলই বর্তমানে থাকতো, এরকম আচরণ করলে আমাদের প্রাপ্যতা থেকে যদি এভাবে সরিয়ে দিত । সেই দলের ওপরেই রাগ হতো আমাদের। কিন্তু এই কথা টি বলতে গেলে অনেকে বলবে , আপনি নিশ্চই ‘ ডীপ গ্রিন দল’ বিরোধী, আপনি নিশ্চই ‘ লাইট রেড দল’ বা ‘ ডার্ক স্যাফরণ দল’ সমর্থক । অথচ রাজনীতি নিয়ে আমাদের ইন্টারেস্ট ই নেই । অন্যায় যে করছে সেটা অন্য রং হলেও আমাদের এরকম রাগই হতো ।
তাই শেষে আবার বলতে চাই । যে এই লেখাটি রাজনৈতিক পোস্ট নয় । বেকারত্বের পোস্ট । কিন্তু কোনটা সঠিক কোনটা ভুল বুঝেও আমরা চুপ থাকি ।
